নিজস্ব প্রতিবেদক ::
শেষ হলো রাখাইন সম্প্রদায়ের তিনদিনের মাহা সাংগ্রেং পায় বা মৈত্রিময় জলকলি উৎসব। ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ঘোর অন্ধকার মাড়িয়ে আলোক জীবনের প্রত্যাশায় বরণ করা হয় ১৩৮৪ মগীসনকে।
সমাপনী দিনে রাখাইন তরুণ—তরুণীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নববর্ষ উৎসবকে বর্ণিল করে তুলে। তারা পুরস্পর মঙ্গলময় জল ছিটিয়ে পুরনো সবকিছু ধুয়ে মুছে নতুনকে আহবান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার শহরের জলকেলি প্যান্ডেল গুলো ঘুরে দেখা যায়, টেকপাড়া, হাঙর পাড়া, বার্মিজ স্কুল এলাকা, চাউল বাজার, ফুলবাগ সড়ক, পূর্ব—পশ্চিম মাছবাজার, আরডিএফ প্রাঙ্গন, ক্যাং পাড়া ও বৈদ্যঘোনাস্থ থংরা পাড়ায় রাখাইন স¤প্রদায়ের তরুণ—তরুণীরা বাদ্য বাজনা বাজিয়ে দল বেঁধে এক প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেলে ছুটে যায়। প্যান্ডেলগুলোতে আগে থেকে অপেক্ষারত তরুণীরা মধ্যে সেজে দলবেঁধে আসা তরুণদের পানি ছিটিয়ে পুরোনো বছরের হতাশা দূর করে।
এবার রাখাইন নববর্ষ উপলক্ষে ডিজে পার্টিসহ বর্ণাঢ্য নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এছাড়া শহরের প্যান্ডেল গুলোতে জলকেলি শেষে সকলে ক্যাংপাড়া অনুষ্ঠান মঞ্চে। সেখানে রাখাইন শিল্পীরা মনোমুুগ্ধকর বিভিন্ন গানে মাতিয়ে তোলে আগত দর্শনার্থীদের। এসময় ছোট শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণরাও নেচে—গেয়ে মহা আনন্দে মেতে উঠে।
পর্যটন শহর ছাড়াও মহেশখালী, টেকনাফ সদর, হ্নীলা চৌধুরী পাড়া, রামু, পানেরছড়া, চকরিয়ার মানিকপুরসহ রাখাইন অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সপ্তাহজুড়ে রাখাইন নববর্ষ পালনে নানা আনুষ্টানিকতা পালন করা হয়।
পাঠকের মতামত: